শিক্ষার প্রধান উদ্দেশ জ্ঞান অর্জন করা। কিন্তু কেবল পাঠ্য বই ও পরীক্ষা পাস নির্ভর হলে সে শিক্ষা ফলপ্রসূ হয় না। তা জ্ঞানী ও গুণীর জন্ম দিতে পারে না। দেশ ও জাতির উন্নতির জন্য আমাদের প্রয়োজন তরুনসমাজকে জ্ঞানের সাধনায় অনুপ্রাণিত করা। প্রথমে কষ্টকর হলেও পরিনামে তা তরুন্সমাজকে আলোকিত করবে এবং তাদের জ্ঞানের দুয়ার খুলে যাবে।
এ কালের দৃশ্যটি অত্যন্ত মন্দ এবং চিন্তামূলক। সমাজের প্রতিনিধিত্ব করা উচিত পরিস্থিতির মধ্যে পর্যায়ক্রমে হেঁটে যাচ্ছে অস্ত্রোচ্চারণ, অন্ধ প্রতিদ্বন্দ্বীতা, স্বতন্ত্রতার অভাব, এবং নৈতিক মূল্যবোধের হারানো অবস্থা। এ দৃশ্যে অনুভব হচ্ছে ক্রুরতা, অসহ্য প্রহরণ, এবং অমানুষিক ব্যবহারের উত্কৃষ্ট উদাহরণ। প্রত্যাশা ও নিরাপদতা এ সময়ে অস্তিত্বে নেই। এই সময়ে সতর্কতা ও শান্তিপূর্ণতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
তরুণদের উচিত তাদের অমূল্য জীবনকে সার্থক করার জন্য তাদের অনন্ত শক্তিকে কাজে লাগানো।পূর্বপুরুষদের লিখিত পুঁথি ঘেঁটে বসে না থেকে বরং বর্তমানের নতুন পরিবেষ্টনের সাথে খাপ খাওয়ানো ।তাদের বর্তমানের বেদনাকে উপেক্ষা করে ভবিষ্যতের জন্য আদর্শ স্থাপন করার চেষ্টা করা উচিত।অতীতের প্রতি আসক্তি মানুষকে অন্ধ করে দেয়, বর্তমানের পরিস্থিতি বুঝতে বাধা দেয়, ফলে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ, বিগ্রহ-বিপ্লব এবং রক্ত-বন্যার মতো ঘটনা ঘটে।মানুষের উচিত অতীতের সৃষ্টিকে অক্ষুন্ন রাখার চেষ্টা না করে বর্তমানের নব পরিবেষ্টনের সাথে খাপ খাওয়ানো।তরুণদের চিরকালই অন্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে।
সারাংশঃ তরুণ সমাজ পরীক্ষা পাশের জন্যে ব্যতিব্যস্ত হলেও প্রকৃত জ্ঞানচর্চার প্রতি তাদের অনুরাগ নেই। জ্ঞানস্পৃহাহীন শিক্ষা দেশ ও জাতির জন্যে কল্যাণকর হতে পারে না। তাই তরুণ সমাজকে প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্যে সচেষ্ট হতে হবে এবং জাতির বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।